রাত ৩:৩৬, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) নবম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর এর মাধ্যমে ঢাকাকে ছাড়িয়ে শিরোপা জয়ে রেকর্ড গড়ল ইমরুল কায়েস বাহিনী।
বিপিএলে এখন সর্বোচ্চ শিরোপা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। এতদিন তিনবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে যৌথভাবে শীর্ষে ছিল ঢাকা ও কুমিল্লা। এবারের ফাইনালে সিলেটকে হারিয়ে সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা নিশ্চিত করল ভিক্টোরিয়ান্সরা। এই দুই দল ছাড়াও ট্রফির স্বাদ পেয়েছে রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী রয়্যালস।
১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না সিলেট স্ট্রাইকার্সের। ১০ রানে ওপেনার সুনিল নারিন ও ২ রানে ফেরেন ইমরুল কায়েস। তবে তৃতীয় উইকেটে লিটন-জনসন চার্লসের গড়া ৭০ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফিফটি পূরণের পর ৩৯ বলে ৫৫ রানে ফেরেন লিটন।
এদিকে মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন চার্লস। ফিফটি পূরণের পর অপরাজিত থাকেন ৭৯ রানে। মাত্র ৫২ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি সাতটি চার ও পাঁচটি ছয়ে সাজানো। আর ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টেস জিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দলনেতা ইমরুল কায়েস। ইনিংসের শুরুটাই হয়েছে বাই চারের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, একই ওভারের শেষ বলেও বাই চার পেয়েছে সিলেট। প্রথম ওভারেই আসে ১৮ রান।
তবে পরের দুই ওভারেই দুটি উইকেট হারায় সিলেট। শূন্যরানে তৌহিদ হৃদয় ও ১ রানে আউট হন দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত খেলে খেলেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এ সময় দুজনে তোলেন ৭৯ রান। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৬৪ রানে থামেন শান্ত।
এদিকে আপনতালে খেলে যান মুশফিক। কিন্তু সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছিলেন না কাউকে। রায়ান বার্ল ১৩, থিসারা পেরেরা শূন্য ও জর্জ লিন্ডে ৯ রানে আউট হন। ৪ বলে মাত্র ১ রান করেন জাকির হোসেন। এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে যান মুশি। ফিফটি পূরণের পর অপরাজিত থাকেন ৭৪ রানে।