রাত ৪:২৪, ১৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
দেশের শিল্পখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় মর্যাদাপূর্ণ ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮’ প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটি বাংলাদেশ)। বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানটিকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
গত সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান মুবিনা আসাফের হাতে এই পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এই পুরস্কার তুলে দেন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
শিল্পখাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় মোট ছয়টি ক্যাটাগরিতে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮’ দেয়া হয়। পুরস্কারটি দেশের শিল্প উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে বিএটি বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ একটি স্বীকৃতি।
বিএটি বাংলাদেশের লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান মুবিনা আসাফ সম্মানজনক এই পুরস্কার দেয়ায় শিল্প মন্ত্রণালয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ সময় মুবিনা আসাফ বলেন, দেশে শিল্পান্নোয়নে বিএটি বাংলাদেশের ধারাবাহিক অবদানের সম্মানজনসক স্বীকৃতি এই পুরস্কার। আমাদের কোম্পানির সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ‘মানবসম্পদ’। বিএটি বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
বিগত ১০ বছরে আমরা প্রযুক্তিগত বিনিয়োগের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে আমাদের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আসছি। এতে বিএটি বাংলাদেশ একটি বহুজাতিক কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও সম্পূর্ণ দেশীয় মেধাশক্তি দিয়ে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে। আমাদের এখানকার প্রায় দেড় হাজার কর্মীর মধ্যে মাত্র তিনজন বিদেশি কাজ করছেন। উপরন্তু ৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি বিএটি বাংলাদেশ থেকে এখন বিভিন্ন দেশে কর্মরত।
‘অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে শুধু কর্মকর্তাই নয়, বর্তমানে আমাদের কারখানার মেশিন অপারেটররাও নিয়মিতভাবে সিঙ্গাপুর, পোল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়ানিউগিনিতে সেই দেশের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।“যোগ করেন মুবিনা আসাফ।
বিএটি বাংলাদেশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিপুল জনশক্তির এ দেশে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে অবারিত সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি। বিএটি বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।’
শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।