দুপুর ১:৪৫, ১৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দাবি মেনে নেন, চা খেতে সমস্যা নেই: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ফখরুল

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা খেতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার কার্যালয়ে গেলে চা খাওয়াবেন। তার আগে বলে দেন, নিরেপক্ষ সরকার সিস্টেম এনে দিচ্ছি। তাহলে চা খাবো। অসুবিধা কি? সমস্যার সমাধান হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরেপক্ষ সরকার।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা: দুর্নীতি আর লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) এই আলোচনার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ব্যবস্থা সরকার করেছে। কিন্তু জ্বালানি কোথা থেকে আসবে সে ব্যবস্থা সরকার করেনি। জ্বালানির ব্যাপারে সরকার কোনো পরিকল্পনা করেনি। পরিকল্পনা না করার কারণে দেশের আজ বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে।’

‘এখনো যে দেশের মানুষ দুই বেলা খেতে পায় না, যে দেশের মানুষ এখনো ৪২ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে, সেই দেশকে সিঙ্গাপুর বানাচ্ছেন। আপনাদের নিরাপত্তার জন্য আবার কানাডায় বেগমপাড়া করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে সেকেন্ড হোম করছেন। এইটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা।’

গ্রামে ৬-৭ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শহরের মানুষদের খুশি রাখার জন্য শহরে লোডশেডিং কম হচ্ছে। কারণ শহরের মানুষ একটু বেশি হইচই করে, আন্দোলন করে।’

‘শহরের মানুষদের খুশি রেখে গ্রামে যারা কৃষি কাজ করে, ফসল ফলান তাদের লোডশেডিং বেশি দিচ্ছে। ফলে কী হবে? ফসল উৎপাদন কমে যাবে। ধান উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে চলে যাবে। এভাবেই পতন অনিবার্য হবে।’

মেগাপ্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মেগা দুর্নীতি—এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মেগা প্রজেক্টে মেগা লুটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আজ এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।’

‘অথচ তাদের সঙ্গে কথা বললে মনে হবে তারা একটা স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে এবং উন্নয়নের রোল মডেল। এখন রেমিট্যান্স কমে আসছে। চোখে সর্ষের ফুল দেখবেন। দেখা শুরু করেছেন। যার জন্য এখন আবোলতাবোল বলা শুরু করেছেন।’